সম্মানিত ক্রেতা ,
“ট্রেন্ডি বাংলাদেশ” একটি রিটেইল সেল এবং খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান।। তারা কোন ধরনের পন্য প্রস্তুত করে না। তাই, ওয়ারেন্টি সেবার ক্ষেত্রে পন্যের ভিন্নতার দিক থেকে প্রত্যেকটি ব্র্যান্ড-ই সতন্ত্র এবং তাঁদের বিভিন্ন শর্তাবলী অনুসারে ওয়ারেন্টি সেবা দিয়ে থাকে। । ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক (পন্য ভেদে), দেশীয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বি.সি.এস) কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরন করি।
“Trende Bangladesh” তাদের কাস্টমারদের সন্তুষ্টির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং দ্রুততর সেবা প্রদান করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে কার্য পরিচালনা করতে হয়।সম্মানিত গ্রাহদের প্রতি বিনীত অনুরোধ “ট্রেন্ডি বাংলাদেশ” থেকে যেকোন পন্য কেনার পূর্বে নিম্নলিখিত নিয়মাবলি ভালোভাবে অনুসরণ করবেন।
যেসব কারনে পন্য ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে নাঃ
1. পন্যের ক্রয়কৃত রশিদ, বিল, ইনভয়েস বা কোনরূপ ক্রয়ের প্রমানপত্র যদি না থাকে, তবে তা ওয়ারেন্টির আওতায়ভূক্ত হবে না।
2. পন্যের স্টিকার বা সিরিয়াল নাম্বার যদি উঠে যায় বা অস্পষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
3. বিক্রিত সকল প্রোডাক্ট এ ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয় না। শুধুমাত্র যেসকল প্রোডাক্ট গুলোতে মূল কোম্পানি ওয়ারেন্টি প্রদান করে থাকে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি কার্যকর হয়ে থাকে।
4. পন্যের কোন অংশ যদি পুড়ে যায়, ভেঙ্গে যায়, কোন অংশ বসে যায়, টেম্পারিং হয়, লেয়ার কাটা , মরিচা পড়া, বাঁকা হয়ে যাওয়া, ফাঙ্গাস পড়া, ফাটা হওয়ার মত দাগ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে পণ্যটি ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
5. ল্যাপটপের ব্র্যান্ড ও মডেল ভেদে ওয়ারেন্টির মেয়াদ ১-৩ বছর হয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাটারি, চার্জার এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশের ওয়ারেন্টি ১ বছরের অধিক নয়।
6. পন্যের কেসিং-এর ভিতরের কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন এবং সিরিয়াল নাম্বার যদি অমিল পাওয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত হবে না।
7. ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত এমন কোনো প্রোডাক্ট বিক্রির পর যদি তাতে কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে, তবে মেরামতের মাধ্যমে সেই ত্রুটি দূর করা হয় এবং পন্যের প্রকারভেদে তা সাথে সাথে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়ে থাকে।
8. পন্যের লক বা হুক ভাঙ্গা অথবা খোলার চেষ্টা হয়েছে তা যদি সনাক্ত হয়, তবে সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
9. তরল জাতীয় পদার্থ ব্যবহারের কারনে যদি পন্যের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় বা তরল পদার্থ পন্যের ভিতরে প্রবেশ করে, তবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
10. পন্যের স্ক্রিনে যদি স্ক্র্যাচ বা দাগ পড়া অবস্থায় পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত হবে না।
11. পন্যের কোন যন্ত্রাংশ যদি পোকা-মাকড়ের কারনে কোনরূপ ক্ষতিগ্রস্থ বা বিনষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
12. পন্যের অপব্যবহারের ফলে যদি কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে তা ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত হবে না।
13. মনিটরের ডেড পিক্সেল (Dead Pixel) বা স্টাক পিক্সেল (Stuck Pixel) এর ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি ক্লেইম এর জন্য ন্যূনতম ৩ বা তার অধিক ডেড/স্টাক পিক্সেল দৃশ্যমান হতে হবে।
14. নির্দিষ্ট মডেলের প্রোডাক্ট ওয়ারেন্টির আওতায় নেয়ার পর সার্ভিসের কাজ শেষ করে প্রোডাক্টটি ফেরত দেয়ার সময়কাল নির্দিষ্ট নয়, এই সময়কাল ৩-৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ দিন কিংবা আরো বেশী দীর্ঘ হতে পারে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ অনেক সময় দেশে পর্যাপ্ত স্টকে থাকে না , তা বিশেষভাবে আমদানী করে আনতে হয় যেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
15. লাইফ টাইম ওয়ারেন্টির পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে মূলত পন্যটি বাজারে যতদিন বর্তমান থাকবে, ঠিক ততদিন আপনি পণ্যের ওয়ারেন্টি সুবিধা পাবেন।
সার্ভিস ওয়ারেন্টি পলিসিঃ
সার্ভিস ওয়ারেন্টির অন্তর্ভুক্ত কোন পন্য ওয়ারেন্টি সীমার মধ্যে থাকলে তা রিপেয়ার করার জন্য কোন বাড়তি মুল্য নেয়া হবে না, তবে যদি কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন বা সংযোজন করতে হয়, সেক্ষেত্রে যন্ত্রাংশের মূল্য ক্রেতাকে বহন করতে হবে।